নিয়মের শৃংখল
হৃদয়ে হচ্ছে তোলপাড়
মেনে নিতে পারছে না আর হার
বাতাসে দোল দেয় আজ মন
রূপবতী কন্যার কেশের আচ্ছাদন
বনে বনে কুসুমে রয়েছে তারই চর্চা
নিয়মের শৃংখল খুলে সে উড়াল দিল
তার ডানা আজ থামবার নয়
কুঞ্চিত ব্রু গুলিকে এড়িয়ে
পাখির খাঁচা ছেড়ে আজ সে স্বাধীন!
কি ভাবছ !!
সত্যি কি এমন হলো!!!
না না
মনের পাখি উড়ে গেলেও
শরীর নামক খোলসটা যেতে পারছেনা
পারছেনা ছুটতে
পারছেনা ভাঙতে এই সমাজের শৃংখল
সেই উড়ন্ত মন পাখিটার ওপর পাহাড় পাহারা
করে দাঁড়িয়ে আছে দূর বহুদূরে
পাখিটাকে বাহুডোরে উষ্ণ আলিঙ্গনের তরে
পাহারটি আজও একা
বড় একা
পাখিটির পথপানে চেয়ে চেয়ে।
আচ্ছা, পাখি টি আসছে কি ধেয়ে?
নাহ, সমাজের শিকল ভাঙার সাধ্য যে তার নেই!
পাহাড়ে বৃস্টি হয় অবিরত
গাল বেয়ে ঝরে পরে অশ্রুধারা
পাখিটি আর উড়বে না সেই পাহারের খোলা আকাশে।
সেই পাখিটির নেই কোনো দোষ
সেই পাখিটির মনের পাখি পাহাড়ের পানে উড়ে গেলেও
শরীর নামক খোলসটা যেতে পারছেনা
পারছেনা ছুটতে
পারছেনা ভাঙতে এই সমাজের শৃংখল।
তাই তারা একা!
একা!!
বড্ড একা!!!
নিয়মের শৃংখল
মোঃ নাজমুল হুদা -১৯৯৪
৩০-০৮-২০২২, সীতাকুণ্ড পাহাড়, চট্টগ্রাম।